প্রতীকী ছবি
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিদিন খাওয়ার আগে ও পরে দু’বার নিয়ম মেনে রক্তে শর্করার পরিমাণ মাপা জরুরি। প্রতিবার তো আর হাসপাতালে বা ক্লিনিকে গিয়ে ব্লাড পরীক্ষা করানো সম্ভব নয়!
এ কারণে বিশেষজ্ঞরা গ্লুকোমিটার ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই রক্তে শর্করার মাত্রা কতটুকু আছে তা পরিমাপ করার পরামর্শ দেন।
আর তাই বর্তমানে বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগী ঘরেই গ্লুকোমিটারের সাহায্যে পরীক্ষা করেন রক্তের শর্করার মাত্রা। তবে এক্ষেত্রেও অনেকেই করে বসেন ভুল! আর বেশ কিছু ভুলের কারণে আসতে পারে ভুল ফলাফল।
ফলে সমস্যা বাড়তে পারে আপনার। এজন্য ঘরে ডায়াবেটিস পরিমাপের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা ঘরে রক্ত পরীক্ষার সময়ে কোন কোন নিয়ম মেনে চলবেন?
>> প্রতিবার গ্লুকোমিটার ব্যবহারের আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। তারপর ভালো করে হাত মুছে রক্তের প্রথম ফোঁটা নিতে হবে।
>> একই সূচ দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না। অনেকেই এ ভুলটি করেন। এর ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
>> যে যন্ত্রটির সাহায্যে আপনি রক্তের শর্করার মাত্রা পরিমাপ করছেন সেটির আদৌ কি যত্ন নিচ্ছেন? অনেকেই করেন না! যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি যত্নশীল হওয়াও দরকার। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো মানের যন্ত্র কিনতে হবে।
নির্দিষ্ট সময় পরপর তার পরিমাপের নির্ভুলতা পরীক্ষা করা, ব্যাটারির দিকে খেয়াল রাখা, প্রতিবার ব্যবহারের আগে যন্ত্রটি ‘রিসেট’ করার বিষয়ে নজর দিতে হবে। খুব বেশি ঠান্ডা কিংবা গরম স্থানে যন্ত্রটি রাখবেন না।
>> রক্ত নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন আঙুলের উপর ভাগ থেকে তা সংগ্রহ করা না হয়। অনেকেই আঙুলের একেবারে ডগায় সূচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুলের সামান্য আশপাশ থেকে রক্ত সংগ্রহ করলে ব্যথা অনেকটাই কম অনুভূত হয়। এছাড়া প্রতিদিন একই আঙুল থেকে রক্ত নিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা না করে অন্যান্য আঙুল থেকেও রক্তের নমুনা নিতে পারেন।
আরো পড়ুন: ১৩৭টি সিগারেটের চেয়েও বেশি ক্ষতি ১টি মশার কয়েলে!
>> প্রতিদিনের ফলাফল একটি জায়গায় লিখে রাখুন। ওই তালিকা দেখেই চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, আপনার শরীরে ওষুধ আদৌ কাজ করছে কি না।
>> শুধু সকালে খালি পেটে কিংবা খাবার দু’ঘণ্টা পরে রক্ত পরীক্ষা করেন অনেকে। চাইলে দিনের বিভিন্ন সময়েও আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কতটুকু আছে তা জানতে পারেন।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি/এভরিডে হেলথ
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/